গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট মানে কি

গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট মানে কি?

গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট বলতে কী বোঝায়?

গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট মানে হল, একজন শিক্ষার্থী তার নির্দিষ্ট শিক্ষাক্রম বা ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাকে সেই ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত, এই ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলো বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের অধীনে করা হয়। যেমন, স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করা, যেটিকে আমরা বাংলায় ‘গ্রাজুয়েশন’ বলি।

কেন গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ?

  • ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য: বেশিরভাগ চাকরির জন্য গ্রাজুয়েট হওয়া একটি মৌলিক প্রয়োজন।
  • স্কিল ডেভেলপমেন্ট: শিক্ষাজীবনে শেখা বিভিন্ন স্কিল বাস্তব জীবনে কাজে লাগে।
  • উচ্চশিক্ষার জন্য দরজা খোলা: গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর উচ্চশিক্ষায় পড়ার সুযোগ থাকে।

কিভাবে বুঝবেন আপনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন?

গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে:

  • একাডেমিক ক্রেডিট পূর্ণ করা: প্রতিটি প্রোগ্রামে নির্দিষ্ট ক্রেডিট পূর্ণ করতে হয়।
  • ফাইনাল এক্সাম পাস: সব কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা পাস করতে হবে।
  • ডিগ্রি প্রাপ্তি: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে গ্রাজুয়েট হওয়ার সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

গ্রাজুয়েশন শেষে কী কী সুযোগ সৃষ্টি হয়?

  • চাকরির সুযোগ: অনেক প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র গ্রাজুয়েটদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
  • উচ্চশিক্ষা: মাস্টার্স বা বিশেষায়িত শিক্ষার সুযোগ।
  • নিজস্ব স্কিলের উন্নতি: গ্রাজুয়েশন শেষে বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ।

বাংলাদেশে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পরে চ্যালেঞ্জ

  • চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতা: গ্রাজুয়েটদের জন্য চাকরির প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।
  • প্র্যাকটিক্যাল স্কিলের ঘাটতি: শুধু একাডেমিক জ্ঞান চাকরির জন্য যথেষ্ট নয়, প্র্যাকটিক্যাল স্কিলের অভাব থেকে যায়।
  • উচ্চশিক্ষার ব্যয়: অনেক ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে।

উদাহরণ

  • উদাহরণ ১: একজন গ্রাজুয়েট হওয়ার পর ব্যাংকে চাকরি করতে চান। তিনি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন।
  • উদাহরণ ২: আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে একজন গ্রাজুয়েট তার শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আর্টিকেল লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।

গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পরে কি কি পরিকল্পনা করতে পারেন?

  • চাকরির প্রস্তুতি: ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
  • হাইয়ার স্টাডিজ: মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে ইচ্ছুক হলে প্রস্তুতি নেওয়া।
  • স্কিল ডেভেলপমেন্ট: প্রয়োজনীয় স্কিল যেমন যোগাযোগ দক্ষতা বা টেকনিক্যাল স্কিলের উপর জোর দেওয়া।

উপসংহার

গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা শিক্ষাজীবনের একটি বড় অর্জন, যা ব্যক্তির ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি শিক্ষার্থীদের জীবনের একটি অধ্যায় সম্পন্ন করে এবং তাদেরকে নতুন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যায়।

** আমরা ১০ মিনিট স্কুলের অ্যাফিলিয়েট। আমাদের লিঙ্কের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে আমরা একটি ছোট কমিশন পেতে পারি, যা আপনার জন্য কোনো অতিরিক্ত খরচ সৃষ্টি করবেনা।

Author

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *