বহির্মুখী শব্দটি মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আচরণের সাথে সম্পর্কিত একটি ধারণা। এটি এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি সমাজে মেলামেশা করতে এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করেন। বহির্মুখী মানুষরা সাধারণত সক্রিয়, কথা বলতে ভালোবাসেন এবং সবার সঙ্গে মিশতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব:
বহির্মুখী মানুষেরা সাধারণত অন্যদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ করেন। তারা দলগত কাজ, পার্টি, বা যে কোনো সামাজিক কর্মকাণ্ডে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। তাদের একা থাকা খুব একটা পছন্দ নয়। তারা সব সময় নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে চান এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পছন্দ করেন।
বহির্মুখী ও অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্বের পার্থক্য:
বহির্মুখী এবং অন্তর্মুখী ব্যক্তিত্ব একেবারে বিপরীত। অন্তর্মুখী মানুষ সাধারণত শান্ত, গভীর চিন্তাশীল, এবং একা থাকতে পছন্দ করেন। অন্যদিকে, বহির্মুখী মানুষ বেশি মিশুক এবং আনন্দমুখর।
বাংলাদেশে বহির্মুখী চরিত্রের উদাহরণ:
বাংলাদেশের অনেক রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক আন্দোলনের কর্মী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা বহির্মুখী চরিত্রের উদাহরণ। যেমন, শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলা যায়, যিনি জনগণের সঙ্গে সরাসরি মিশতেন এবং তাদের নেতৃত্ব দিতে ভালোবাসতেন।
বহির্মুখী মানুষদের কর্মজীবনে প্রভাব:
বহির্মুখী মানুষদের সাধারণত জনসংযোগ, বিক্রয়, বিপণন, এবং শিক্ষাদানের মতো পেশাগুলোতে ভালো পারফর্ম করতে দেখা যায়। তারা সহজে নতুন যোগাযোগ তৈরি করতে পারেন এবং দলগত কাজ করতে পছন্দ করেন। তাদের উদ্যম ও আত্মবিশ্বাস পেশাগত জীবনে সাফল্য আনতে সহায়ক হয়।
উপসংহার:
বহির্মুখী ব্যক্তিত্ব সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সক্রিয়, সমাজমুখী এবং নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত থাকেন। তাদের উপস্থিতি একটি দলের জন্য উৎসাহ এবং উদ্যম যোগাতে সহায়ক হয়।