অপরাহ্ন শব্দটি বাংলা ভাষায় দুপুরের পরবর্তী সময় নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি দুপুর ও সন্ধ্যার মধ্যবর্তী সময়কে বোঝায়। সাধারণত দিনকে চার ভাগে ভাগ করা হয়—প্রভাত, পূর্বাহ্ন, অপরাহ্ন, এবং সন্ধ্যা। বাংলার দৈনন্দিন জীবনে এই শব্দের ব্যবহার বেশ প্রচলিত।
অপরাহ্নের সংজ্ঞা:
“অপরাহ্ন” বলতে বোঝানো হয় দুপুর ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত সময়। এই সময়ের পরে সন্ধ্যা শুরু হয়। এটি হলো দিনের সেই সময় যখন সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে এবং দিনের আলো ক্রমশ কমতে থাকে।
অপরাহ্নের সময় গণনা:
বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে, দিনকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা হয়। অপরাহ্ন হলো দিনের তৃতীয় ভাগ। সাধারণত দুপুর ১২ টার পর থেকে দুপুরের সময়কে পূর্বাহ্ন বলা হয় এবং দুপুর ৩ টা থেকে অপরাহ্ন শুরু হয়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে:
বাংলাদেশে প্রাচীন কাল থেকেই দিনের বিভিন্ন সময়কে ভাগ করে মানুষের কাজের সময়সূচী নির্ধারণ করা হত। অপরাহ্ন হলো এমন একটি সময়, যখন দিনের কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে থাকে। বিশেষ করে কৃষি ক্ষেত্রে, এই সময় মাঠের কাজগুলো শেষ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
অপরাহ্নের আবহাওয়া:
অপরাহ্নের সময়, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে, দিনের তাপমাত্রা বেশ উচ্চমাত্রায় থাকে। তবে শীতকালে এই সময় তুলনামূলক শীতল থাকে। এই সময়ের আবহাওয়া মানুষের কাজের গতিকে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে, যারা বাইরে কাজ করেন, তাদের জন্য এই সময়টি কাজ শেষ করার সময় হিসেবে বিবেচিত হয়।
সাংস্কৃতিক প্রভাব:
বাংলাদেশের গ্রামীণ সমাজে অপরাহ্নের সময় গ্রামীণ মেলাসহ নানা ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। অপরাহ্নের সময় শিথিলতা ও বিশ্রাম নেওয়ার সময় হিসেবে ধরা হয়। এই সময় মানুষ সাধারণত চা পান করতে বা গল্প করতে বসেন। এটি দিনশেষের সময়কে ঘনিয়ে আনার অনুভূতি দেয়।
উপসংহার:
অপরাহ্ন হলো দিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। এটি হলো দিনশেষের প্রায় কাছাকাছি সময়, যখন মানুষ তাদের কাজ শেষ করে ফিরে আসার প্রস্তুতি নেয়। বাংলার গ্রামীণ এবং শহুরে জীবনে এর প্রভাব এখনও বিদ্যমান।